মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন

News Headline :
শ্যামনগরে হিংস্র মহিষের আক্রমণে ছয় জন গুরুতর আহত খুনিরা অধরা পাবনায় জুলাই আগষ্ট বিপ্লবে নিহত-আহতদের পরিবার আতংকিত শহীদ নিলয়ের পরিবার ভয়ে মামলা করেনি ভিসি প্রো-ভিসি নিজেরাই কোটার সুবাধে চেয়ারে বসে আছে-রাবি কর্মচারী পাবনায় চাঁদাবাজির মামলায় সাবেক ডিপুটি স্পিকার কারাগারে পাবনায় মোটর সাইকেল ছিনতাই ২জন গ্রেফতার মোটরসাইকেল উদ্ধার রাজশাহীর তানোরে বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী জামিনুরের বিরুদ্ধে বিতর্কিত কর্মকান্ডের অভিযোগ শ্যামনগর প্রধান সড়কে বিচালী ইট কাঠ নেটের ঘেরা শ্যামনগরে ভ্যানে চাদর আটকিয়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু রাজশাহীতে আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে আটক ৯ শ্যামনগরে সুন্দরবনের গরান জ্বালানী কাঠ কাটার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

নেশাজাতীয় পানীয় পানে ৩ জনের মৃত্যু ও ২ জন অসুস্থের অভিযোগ

Reading Time: 2 minutes

নিজস্ব সংবাদদাতা, অভয়নগর যশোর:
যশোরে নেশাজাতীয় পানীয় পান করে তিনজনের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অসুস্থ দুজন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
যশোর সদর উপজেলার আবাদ কচুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে ওই নেশাজাতীয় পানীয় পানের ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি শুক্রবার রাতে জানাজানি হয়।
মৃতরা হলেন- আবাদ কচুয়া গ্রামের মো. ইসলাম, জাকির হোসেন ও আবুল কাশেম। এ ছাড়া গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছেন সিতারামপুর গ্রামের মনিরুদ্দীনের ছেলে বাবলু এবং একই গ্রামের আনোয়ার মোড়লের ছেলে রিপন হোসেন মোড়ল।
কচুয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলাম বিদ্যুৎ জানিয়েছেন, ‘গত বুধবার রাতে আবাদ কচুয়া গ্রামের একটি বাগানে ওই পাঁচজন বিষাক্ত নেশাজাতীয় পানীয় পান করেন। রাতেই তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে নিজ নিজ বাড়িতে গ্রাম্য চিকিৎসকের দিয়ে চিকিৎসা নেন। কিন্তু অবস্থায় অবনতি হলে ইসলামকে বৃহস্পতিবার ভোরে তথ্য গোপন করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওইদিন দুপুরের দিকে মারা যান তিনি। এরপর পরিবারের সদস্যরা দ্রুত ছাড়পত্র ছাড়াই মরদেহ হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে চলে যান।’
তিনি আরও জানান, ‘বাকি চারজন বাড়িতে আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে শুক্রবার সকালে তারা একে একে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। এর মধ্যে জাকির হোসেন দুপুর পৌনে একটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান। এরপরই তাদের বিষাক্ত নেশাজাতীয় পানীয় পানের বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর বাবলু ও রিপন হোসেন হাসপাতাল ছেড়ে বেসরকারি ক্লিনিকে চলে যান। আর অসুস্থ আবুল কাশেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় শুক্রবার রাতে মারা যান।’
যশোর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুর রশিদ জানান, ‘স্বজনরা তথ্য গোপন করে রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করেন। তবে রোগীদের মুখে গন্ধ থেকে বোঝা যায় বিষাক্ত নেশাজাতীয় পানীয় পানের ফলে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন।’
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মহিউদ্দিন জানান, ‘এলাকাবাসীর তথ্য অনুযায়ী অসুস্থ ও মৃতরা অতিরিক্ত বা বিষাক্ত নেশাজাতীয় পানীয় পান করেছিলেন। কিন্তু তাদের স্বজনরা সেই তথ্য গোপন করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র না নিয়েই স্বজনরা লাশ বাড়িতে নিয়ে গেছেন।’
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবনে মৃত্যু ও অসুস্থ হওয়ার খবর তারা পেয়েছেন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা অন্যকেউ তাদের কাছে কোনো অভিযোগ করেনি। বিষয়টি খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com